 |
পেয়ারার উপকারিতা এবং অপকারিতা |
পেয়ারার পুষ্টিগুণ:
পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ। একটি পেয়ারাতে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে একটি মাঝারি আকৃতির কমলা থেকে। ১০ গুণ বেশি ভিটামিন এ রয়েছে লেবুর তুলনায়। এছাড়া ভিটামিন বি২, ই, কে, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, কপার, আয়রন, ফসফরাস এবং পটাসিয়াম রয়েছে।
পেয়ারার পুষ্টিগুণঃ পেয়ারা নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। প্রতি ১০০ গ্রাম পেয়ারাতে রয়েছে –
উপকারিতাঃ পেয়ারার উপকারিতা গুলো নিচে তুলে ধরা হল।
- উচ্চ রক্তচাপ রোধে
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে
- স্কিন ক্যান্সার প্রতিরোধ
- বুদ্ধি বৃদ্ধিতে করে
- চোখের সুরক্ষায় পেয়ারা
- ত্বকের যত্নে
১। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
পেয়ারাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে বিভিন্ন রোগের সাথে যুদ্ধ করার শক্তি প্রদান করে। এছাড়াও ফলটিতে রয়েছে ক্যারটিনয়েড, পলিফেনল, লিউকোসায়ানিডিন ও অ্যামরিটোসাইড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। দেহের কোথাও কেটে গেলে ক্ষতস্থান শুকানোর জন্য এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।
২। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে হার্টকে সুস্থ রাখতে
গবেষণায় দেখা গেছে যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে আসে। এছাড়াও পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও ভিটামিন সি। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা নিয়মিত ভাবে খেলে তা কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকিও কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
৩। ডায়াবেটিস প্রতিরোধে
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে পেয়ারার বিশেষ ভুমিকা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে যে পেয়ারার রসে ও পেয়ারা পাতায় ডায়াবেটিস প্রতিরোধী উপাদান থাকায় ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই এটি খুবই কার্যকর। এজন্য কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ চা চামচ পাতা ১ কাপ গরম পানিতে দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করা যেতে পারে প্রতিদিন।
৪। ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে
বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত সমস্যা যেমন ব্রংকাইটিস সারিয়ে তুলতে পেয়ারার ভূমিকা রয়েছে । ফলটিতে উচ্চ পরিমাণে আয়রন এবং ভিটামিন সি থাকায় এটি শ্লেষ্মা কমিয়ে দেয়। এছাড়া ঠান্ডা জনিত সমস্যা দূর করতে কাঁচা পেয়ারা কার্যকর ভুমিকা রাখে।
৫। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতেঃ
কাঁচা পেয়ারা ভিটামিন এ এর ভাল উৎস। আর এই ভিটামিন এ চোখের জন্য উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন এ কর্নিয়াকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি রাতকানা রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ভুমিকা রাখে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেয়ারা রাখা দরকার।
ফর SEO >
Notice Board:জানতে হবে যে এর পক্ষথেকে আপনাদের প্রানধালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা। 
0 মন্তব্যসমূহ