জানতে হবে যে

আদা খেলে উপকার কি , ক্ষতিকর দিক , বেশি খেলে কি হয় ও খাওয়ার নিয়ম

 
আদা খেলে উপকার কি

আদা খেলে উপকার কি

খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা : 

যদি চা খাওয়ার অভ্যাস আপনার না থাকে তাহলে এক গ্লাস গরম পানিতে আদার জুস বানিয়ে ফেলুন। আদা কুচি করে কেটে তিন চার মিনিট রেখে সে পানি পান করুন। প্রতিদিন এক গ্লাস আদার জুস খাওয়ার অভ্যাস আপনার ডাইজেস্টিভ সিস্টেমকে আরো শক্তিশালি করবে। তাই আদা খাওয়ার নিয়ম মেনে প্রদিদিন এক গ্লাস আদার তৈরি জুস খাওয়ার অভ্যাস করুন।

গর্ভাবস্থায় আদা খেলে কি হয় :

বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা গুড়ো-কাঁচা মিলিয়ে আদা প্রতিদিন ৪ গ্রামের বেশি গ্রহন যাতে না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে বলেছেন। আর গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে দৈনিক ১ গ্রাম আদা খাওয়ার নিয়ম করাই যথেষ্ট বলে মনে করেন তারা।

আদার ৩০টি উপকারিতা : 


ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আদা
আদাতে অ্যান্টিডায়াবেটিক উপাদান আছে। গবেষণায় জানা গেছে যে, রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে আদা এবং যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদেরও। ১ কাপ আদার রস খালি পেটের গ্লুকোজ লেভেলও নিয়ন্ত্রণ করে।

মানসিক বয়স বৃদ্ধি বিলম্বিত করে আদা
আদায় ফেনল ও ফ্ল্যাভোনয়েড উপাদান থাকে। এছাড়াও নিউরোপ্রোটেক্টিভ বৈশিষ্ট্য আছে আদার। আদার রসে মস্তিস্ককে স্বাস্থ্যবান রাখার জন্য প্রোটিনের লেভেল বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ফলে বৃদ্ধাবস্থার বিভিন্ন সমস্যা যেমন- আলঝেইমার্স ও অন্যান্য মানসিক সমস্যার বিরুদ্ধে কাজ করে।

ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে
আস্ত আদায় বিভিন্ন ধরণের বায়োএকটিভ ফেনোলিক্স এবং নন ভোলাটাইল পাঞ্জেন্ট উপাদান যেমন- জিঞ্জেরলস, প্যারাডলস, শোগায়োল এবং জিঞ্জেরোনেস থাকে। গবেষণায় জানা যায় যে, আদার রসে ক্যান্সারনাশক উপাদান থাকে। প্রোস্টেট ক্যান্সারের ব্যবস্থাপনায় সাহায্য করে আদার রস।

জিআই ক্যান্সার থেকে সুরক্ষা দেয়
পরীক্ষামূলক গবেষণায় জানা যায় যে, আদা ও এর সক্রিয় উপাদান ৬-জিঞ্জেরল ও ৬-শোগায়োল গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।

কোলেস্টেরল কমায়
যেহেতু আদা গ্লুকোজের মাত্রার উপর কাজ করে তাই মনে করা হয় যে, আদা কোলেস্টেরলের স্তরও কমাতে পারে।

আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমায়
একটি গবেষণায় জানা যায় যে, আদার রসে ব্যথা নাশক উপাদান আছে। দীর্ঘস্থায়ী হাঁটু ব্যথার রোগীদের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে আদা।

আদার জুস তৈরি করবেন যেভাবে-
একটি আদা ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। তারপর একটি মিক্সারে সামান্য পানিসহ আদাকুচি দিয়ে ভালো করে চূর্ণ করুন। তারপর ছেকে রসটুকু আলাদা করুন। এর মাঝে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন, ব্যস তৈরি হয়ে গেল আদার জুস।
হজমে সুবিধা
অনেকেরই হজমে সমস্যা থাকে।  এমনকি তাদের বাথরুম হ্যাবিট নিয়মিত থাকে না। নিয়মিত আঁশযুক্ত সবজি খাবার পরেও তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য লেগে থাকে। আমান্ডারও এ সমস্যাটি ছিলো। কিন্তু আদা খাওয়ার তিনদিনের মাথায় প্রতিদিন সকালে একই সময়ে তার পেট পরিষ্কারের অভ্যাস হয়ে যায়। এছাড়া সবজি খাওয়ার পর পেট ফাঁপার সমস্যাটিও দূর হয়ে যায়। 

মেদ ও ভুঁড়ি কমানোর (৪০) টি বিশেষ স্বাস্থ্য টিপস :
বেগুনের এমন ৪০টি উপকারিতা, আপনি শুনলে অবাক হবেন!😱
কিভাবে চিনবেন বিষাক্ত, দূষিত মাছ? ১ মিনিটে দেখে নিন!
আদা ব্যায়ামের পর শরীর ব্যথা দূর
আমান্ডা নিয়মিত স্ট্রেংথ ট্রেইনিং করেন।  জিম করার পর সবসময় শরীর ব্যথা হতো তার। কিন্তু আদা খাওয়া শুরু করার ৩-৪ দিন পর তিনি দেখেন, শরীরের ব্যথা অনেকটাই কমে গেছে।  তার আর ব্যথা দূর করার ওষুধ খেতে হচ্ছে না।

রাত্রে ক্ষুধা দূর : 
এক সপ্তাহ আদা খাওয়ার পর আমান্ডা দেখেন, সকালের জিনজার শটটা পান করা খুব একটা সহজ নয়, এর স্বাদটি খুবই তীব্র। তবে রাত্রের এক কাপ আদা চা পান করাটি সহজ হয়ে এসেছে। এর পাশাপাশি মাঝরাতের দিকে ক্ষুধা থেকে জাঙ্ক ফুড খাওয়ার প্রবণতাও কমে এসেছে।

এ সুবিধাগুলো পাওয়ার পর আমান্ডা সিদ্ধান্ত নেন, সকালের জিনজার শট পান করা বন্ধ করলেও তিনি রাত্রে আদা চা পান করা চালিয়ে যাবেন।  আপনিও চাইলে আদা চা তৈরি করে পান করতে পারেন রাতের খাবারের পর।

জ্বর, ঠাণ্ডা ও ব্যথায় আদা উপকারী : 
আমাদের যখন হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে পড়ি সাথে সাথে ডাক্তারের কাছে দৌড়ে যাই। কিন্তু এই অসুস্থ্যতা ঘরোয়াভাবে ঔসুধের চাইতে ভালো কার্যকারী ভূমিকা পালন করে। কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা বডি টেম্পারেচারে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ঠাণ্ডার সময় তাই আদা চা খেতে পারেন।

২/ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাজমা, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা প্রায়শই দেখা যায়। এই সময়ে ডায়েটে আদা রাখুন। সর্দি-কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে, আরাম পাবেন।

বমি-বমিভাব : 
গা গোলানো, মাথা গোলানো ও বমিভাব থেকে রেহাই পেতে কয়েক কুচি আদা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। সমস্যা অনেকটা কমবে।

কোলেস্টেরল কমায় : 
আর্টারি ওয়ালে ব্যাড কোলেস্টেরল ও ফ্যাটি অ্যাসিড জমে করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়। ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধে দেখা যায়। আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অ্যাবজর্বশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে।

মেদ কমায় : 
অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করায়, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়।

হার্ট রোগ প্রতিরোধ : 
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা উপকারী।


 > আমাদের লেখা থেকে যদি একটুও নতুন কিছু শিখে থাকেন, তাহলে প্লিজ আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না প্লিজ। > 



আরো পড়ুন >

বাট্টা ও ছাড়ের মধে্ পার্থক্য কী?


কিভাবে ধূমপান ছাড়াবেন , ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা , সহজ উপায় কিভাবে ধূমপান ছাড়াবেন , ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা , সহজ উপায়

আপেল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা,বিচি খেলে কি হয়, প্রতিদিন ১টি আপেল খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা! আপেল খাওয়ার ১০টি উপকারিতা,বিচি খেলে কি হয়, প্রতিদিন ১টি আপেল খাওয়ার ১০টি স্বাস্থ্য উপকারিতা!


"জানতে হবে যে"


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ